ব্যাটিং নিয়ে মাশরাফির আফশোস

By
Advertisement

দলকে জেতাতে ব্যাট হাতেও অবদান রাখার পর নিজের ব্যাটিং নিয়ে আক্ষেপ করলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, চোট-জর্জর ক্যারিয়ারে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করার সুযোগই পাননি!

শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত ১৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছেন মাশরাফি। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে দারুণ এক ছক্কায় ইতি টেনেছেন ম্যাচের।

ওয়ানডে সিরিজেও ব্যাটিংটা খারাপ করেননি মাশরাফি। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, তবে শেষ দিকে তার ছোট ইনিংসগুলো ছিল দারুণ কার্যকরী।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানালেন, চেষ্টা করছেন ব্যাট হাতেও অবদান রাখার।

“যেহেতু আটে ব্যাটিং করছি, চেষ্টা করছি যতটুকু পারি অবদান রাখার। এই জায়গাটায় ব্যাটিং করলে অন্তত ১৫-২০ রান করতেই হয়। এটাই ভাবনায় আছে।”

এক সময় ব্যাট হাতে নিয়মিতই অবদান রাখতেন মাশরাফি। বাংলাদেশ তার মাঝে দেখছিল সম্ভাবনাময় অলরাউন্ডারের প্রতিচ্ছবি। ২০০৭ সালে ভারতের বাংলাদেশ সফরের সময় সেই সময়ের ভারতীয় অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘মাশরাফির মত একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার যদি আমার দলে থাকত!’

কিন্তু মাশরাফি পরে আর পারেননি অলরাউন্ডার হয়ে উঠতে। মাঝে কিছুদিন তো উইকেটে তার উপস্থিতিই ছিল অস্বস্তিময়। তবে সম্প্রতি আবার তার ব্যাটিংয়ে দেখা যাচ্ছে আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন।

মাশরাফির অলরাউন্ডার না হয়ে উঠতে পারাটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও আক্ষেপ। সেটা না পারার পেছনে গল্পটাও শোনালেন মাশরাফি।

“ব্যাটিং নিয়ে কখনই কাজ করতে পারিনি। এত বার ইনজুরিতে পড়েছি যে কাজ করার সুযোগ হয়নি। যখন ইনজুরিতে পরেছি, এরপর বোলিং নিয়েই কাজ করেছি। কারণ, জানতাম ফিরতে হলে বোলিং দিয়ে ফিরতে হবে। ম্যাচ খেলতে খেলতে সঠিক জায়গায় আসতে হবে। ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ পাইনি।”

অলরাউন্ডার হতে না পারলেও ব্যাট হাতে নিয়মিত অবদান রাখার ইচ্ছা তার আছে। অধিনায়ক জানালেন বদলে যাওয়া মানসিকতার কথা।

“মানসিকতার পরিবর্তন করেছি। যতটুকু পারা যায় অবদান রাখা, আরেক পাশে ব্যাটসম্যান থাকলে স্ট্রাইক দিয়ে খেলানো…এসব পরিবর্তন এনেছি।”

0 comments:

Post a Comment