কয়েক বছর আগে কম্বোডিয়ায় শিশু যৌন নির্যাতন নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেখেন মার্কিন অভিনেতা অ্যাশটন কুচার। এরপর চলমান এই সমস্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির পর এটি ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন নয় বলে বুঝতে পারেন তিনি। “এটি বাড়ির এতো কাছে যে তা আমি কল্পনা করিনি”- এমনটাই বলেন তিনি।
এরপর ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের রক্ষায় অলাভজনক সংস্থা থর্ন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ১২ নভেম্বর এই সংস্থার সঙ্গে যোগ দেয় বড় কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এরপর সিলিকন ভ্যালিতে নতুন একটি উদ্ভাবনী গবেষণাগার চালুর ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই গবেষণাগারে অনলাইনে শিশু অধিকার লঙ্ঘন করা অপরাধ কার্যক্রম নিয়ে পরীক্ষা করবে প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী আর তথ্যবিজ্ঞানীরা।
গুগল, মাইক্রোসফট, ফেইসবুক, পিনটারেস্ট আর আইএসির মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণার জন্য প্রকৌশলগত সমর্থন দেবে। আর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া শিশুদের খুঁজতে গবেষণাগারটিতে 'ডার্ক ওয়েব' প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। আর ছবি দিয়ে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের খুঁজে পেতে নতুন একটি সেবাও চালু করা হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে কুচার বলেন, “আমরা বুঝতে পেরেছি আমরা খুব যথেষ্ট দ্রুত ছিলাম না। যদি আমরা আসলেই বিষয়টির ভেতরে যেতে চাই, মানুষ যতো দ্রুত শিশুদের যৌন নির্যাতন করছে আমাদেরও ততো দ্রুত হবে।”
২০০৯ সাল থেকে শিশু পর্নোগ্রাফির ভিডিও আর ছবি প্রকাশে ২ কোটি আইপি অ্যাড্রেস যুক্ত রয়েছে। আর প্রভাবশালীরা প্রতি রাতে হাজার ডলারের বিনিময়ে শিশুদের শোষণ করছে। ২০০১ সালের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ১ লাখেরও বেশি শিশু এ ঝুঁকিতে আছেন বলে জানিয়েছেন থর্নের প্রধান নির্বাহী জুলি কোর্ডুয়া।
তিনি বলেন, “কীভাবে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় উন্নত করব তা সবসময় খুঁজছি।”
এ নিয়ে সদ্য পিতা হওয়া কুচার বলেন, “এটি হয়ত আমাদের প্রতিবেশী বাসাগুলোতে, কর্মক্ষেত্রে, স্কুলেই ঘটছে। এটি হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।”
0 comments:
Post a Comment